ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ওয়ালটন ৫০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ

আজকাল আধুনিকভাবে ঘর সাজাতে স্মার্ট টিভি যেন এক অপরিহার্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে যখন প্রসঙ্গ আসে ‘ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির, তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে-এর দাম কেমন? ফিচার কেমন? তাই আজ আমরা একেবারে সহজ ভাষায়, জানাবো ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে।

ওয়ালটন-৪০-ইঞ্চি-স্মার্ট-টিভি-প্রাইস-ইন-বাংলাদেশ

চলুন তবে প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়া যাক এবং ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু টিপস অর্জন করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ওয়ালটন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হওয়া ওয়ালটন পণ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে, তাদের টিভি সেগমেন্ট অনেকের পছন্দের শীর্ষে পৌঁছে গেছে। ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি মূলত একটি এমন ডিভাইস যা আপনার বাসার বিনোদন অভিজ্ঞতাকে একদম অনন্য স্তরে নিয়ে যাবে। চলুন প্রিয় পাঠকবৃন্দ জেনে নেই আমরা ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ সহ এই টিভির ফিচার ও গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
  • Model: WD-RS40E11G1
  • Price: Tk. 34,900
  • Android 11.0
  • Screen size: 1.016m
  • Display Resolution: 1920x1080
  • Viewing angle: H 1780/V 1780
  • Contrast Ratio: 5000:1 (typical)
  • Response Time: 8 ms (typical)
  • Frame Rate: 60 Hz
  • Hardware Configuration:
  • - CPU: ARM Cortex-A55 Quad Core
  • - GPU: Mali-G31 MP2
  • - CPU Frequency: MAX 1.45 GHz
  • - GPU Frequency: 550 MHz
  • - DDR RAM Size: 1 GB
  • - eMMC Flash: 8 GB (* Available storages will be less than the total memory due to storage of operating system and software pre-installed on the device.) 
  • Software Configuration:
  • - OS: Android 11.0 (Android TV)
  • - Google Play Store: Yes
  • - Screen Mirroring: Chromecast
  • - Bluetooth Version: 2.1+EDR/4.2/5.1
  • - YouTube: Yes
  • - Netflix: Yes
  • - Amazon Prime: Yes
  • - HDMI (CEC, ARC): Yes
  • - Power Supply: AC 110V-240V 50/60Hz
  • - Power Consumption (TV On): 75W
  • - Power Consumption (STB): < 0.5 W
  • - Music: MP3; WAV
  • - Picture: JPG/JPEG/BMP/PNG
  • - Video: AVI; MP4; TS/TRP; MPG; MOV; DAT; VOB; RM/RMVB
  • - Text: TXT
  • - Subtitle: SRT; SUB; SMI
  • Warranty Information:
  • - TV Replacement Guarantee through Digital Registration: 3 months (Condition Applicable)
  • - LED Panel: 2 Years
  • - Spare Parts: 5 Years
  • - Free Service: 5 Years
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম, ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ সহ এই টিভির ফিচার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আমরা এখানে যে তথ্যগুলো আপনাদের জানিয়েছি সেগুলো ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যাচাই-বাছাই করে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বলা যায়, এখানে উল্লেখ করা প্রতিটি তথ্য একদম সঠিক তবে ভালো হয় আপনি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজে যাচাই করে নিন। কেননা আমরা যে সময় এই আর্টিকেলটি লিখেছি তার পরে হয়তো তাদের ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির প্রাইজ সহ ফিচারসমূহে হালকা পরিবর্তন আনতে পারে যা স্বাভাবিক একটি বিষয়। তাই কেনার পূর্বে আমি যাচাই করে নিন, এটি আপনার জন্য ভালো বলে বিবেচিত হবে।

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ফিচারসমূহ এবং স্পেসিফিকেশন

ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, যারা নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাজারে সরবরাহ করে থাকে। তাদের ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি মডেলটি ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সব ফিচার নিয়ে এসেছে। এই টিভিটি নিত্যদিনের বিনোদনকে আরো রঙিন ও আধুনিক করে তুলেছে। এখন আমরা এর ফিচার এবং স্পেসিফিকেশনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো, যেন আপনার কেনার আগে পুরো ধারণা পরিষ্কার থাকে।

  • ডিসপ্লে এবং রেজুলেশন: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর বড় ডিসপ্লে এবং উন্নত রেজুলেশন। ৪০ ইঞ্চির বিশাল স্ক্রিনে ফুল এইচডি 1920x1080 পিক্সেল রেজুলেশন পাওয়া যায়, যা ছবি এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে করে আরো জীবন্ত। টিভিটির প্যানেল উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি, ফলে কালার রিপ্রোডাকশন খুবই নিখুঁত। তাছাড়া এতে ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল সুবিধা রয়েছে, ফলে একাধিক কোণ থেকে দেখলেও ছবির গুণগত মান কমে না। বিশেষ করে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব মিলে মুভি দেখার সময় এর সুবিধা ভালোভাবে বোঝা যায়। পাশাপাশি ডিসপ্লের ব্রাইটনেস এবং কনট্রাস্ট রেশিওও অত্যন্ত উন্নত মানের হওয়ায় যে কোনো পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা সম্ভব।
  • প্রসেসর এবং মেমোরি: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির পারফরমেন্সও প্রশংসনীয়। এতে শক্তিশালী কোয়াড-কোর প্রসেসর ব্যবহৃত হয়েছে, যা টিভির অপারেশনকে করে দ্রুতগতির এবং স্মুথ। অ্যাপ চালানো, স্ট্রিমিং, নেভিগেশন সবকিছুই এখানে অনেক ফাস্ট এবং ল্যাগ-মুক্তভাবে চলে। মেমোরির দিক থেকে এতে ১ জিবি র্যাম এবং ৮ জিবি রম দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ ব্যবহারের জন্য একেবারে যথেষ্ট। অনলাইনে ইউটিউব দেখা, ফেসবুক চালানো কিংবা হালকা গেম খেলা- সবকিছুই অনায়াসে করা যায়। যারা স্মার্ট টিভিতে মাল্টিটাস্কিং করতে চান, তাদের জন্যও এই কনফিগারেশন ভালো সহায়ক ভূমিকা রাখে।
  • কানেক্টিভিটি অপশন: এই টিভিতে রয়েছে উন্নত কানেক্টিভিটি সুবিধা। এতে বিল্ট-ইন ওয়াইফাই, এইচডিএমআই পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট, ব্লুটুথ এবং ইথারনেট পোর্ট রয়েছে। ফলে আপনি সহজেই ইন্টারনেট সংযোগ করতে পারবেন এবং আপনার বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে টিভিটি কানেক্ট করতে পারবেন। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা গেমিং কনসোল- যেকোনো ডিভাইসের সাথে যুক্ত করে সহজে বড় স্ক্রিনে ব্যবহার উপভোগ করা যায়। সেই সাথে মিরাকাস্ট ফিচার থাকায় মোবাইল স্ক্রিন সরাসরি টিভিতে শেয়ার করা সম্ভব, যা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত দরকারি একটি ফিচার।
  • অডিও এবং স্মার্ট ফিচার: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির অডিও সিস্টেমও দারুণ উন্নত। এতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেরিও স্পিকার সিস্টেম, যা পরিষ্কার এবং উচ্চমাত্রার শব্দ সরবরাহ করে। টিভিটিতে রয়েছে ডলবি অডিও সাপোর্ট, ফলে সিনেমা দেখার সময় থিয়েটার লেভেলের সাউন্ড এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যায়। স্মার্ট ফিচারের মধ্যে আছে প্রি-ইনস্টলড ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, ব্রাউজার, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং আরো অনেক অ্যাপ। এ ছাড়া ভয়েস কন্ট্রোল সাপোর্ট থাকায় আপনি কথা বলেই টিভি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সকল দিক থেকে এটি একটি আধুনিক স্মার্ট টিভির আদর্শ উদাহরণ।
  • অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভিতে ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড্রয়েড বেসড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে টিভিটি ব্যবহার করা আরো সহজ এবং সাবলীল হয়। আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, গেমস খেলতে পারবেন এবং টিভিতে ইচ্ছেমতো কাস্টোমাইজ করতে পারবেন। বিশেষ করে ভয়েস কন্ট্রোল সিস্টেম থাকায় শুধু কণ্ঠের সাহায্যে টিভির ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যা বর্তমান যুগের স্মার্টনেসের অন্যতম চাহিদা।
  • শক্তিশালী পাওয়ার সেভিং টেকনোলজি: ওয়ালটন টিভিতে এনার্জি ইফিসিয়েন্ট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে এটি কম বিদ্যুৎ খরচ করে। ইকো মোড ফিচার সক্রিয় রাখলে টিভিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রাইটনেস এবং কনট্রাস্ট সামঞ্জস্য করে, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের চাপ পড়ে না, যা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা।
  • ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভিতে অত্যন্ত ব্যবহার-বান্ধব (ইউজার ফ্রেন্ডলি) ইন্টারফেস রয়েছে। মেনু নেভিগেশন খুব সহজ এবং সরলভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যে কেউ, এমনকি প্রযুক্তিতে অদক্ষ ব্যক্তিরাও সহজে টিভি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপস গুলো স্পষ্টভাবে সাজানো এবং হোম স্ক্রিন থেকে সরাসরি প্রয়োজনীয় অ্যাপ খুলে ফেলা যায়। সেটিংস মেনুতে গিয়ে অল্প কিছু ধাপে টিভির যেকোনো ফিচার কাস্টমাইজ করা সম্ভব, যা বিশেষ করে বয়স্ক ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সহায়ক।
  • গেমিং মোড সাপোর্ট: ওয়ালটনের এই স্মার্ট টিভিতে একটি বিশেষ গেমিং মোড দেওয়া হয়েছে, যেখানে টিভির ইনপুট ল্যাগ কমে যায় এবং স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট ও কালার কনট্রাস্ট উন্নত হয়। এর ফলে গেম খেলার সময় দ্রুত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় এবং ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স অনেক বাস্তবসম্মত হয়। যারা গেমপ্রেমী, বিশেষ করে প্লেস্টেশন বা এক্সবক্স ব্যবহারকারীরা, তাদের জন্য ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি হতে পারে অসাধারণ একটি পছন্দ। গেমিং মোড অন করলে টিভির ছবির মান আরো ঝকঝকে এবং প্রাণবন্ত দেখায়।
  • স্মার্ট রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম: টিভিটির সাথে থাকা স্মার্ট রিমোট কন্ট্রোলটিও অত্যন্ত আধুনিক। এতে রয়েছে বিশেষ শর্টকাট বাটন যেমন নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, ব্রাউজার ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদা বোতাম, যা এক ক্লিকেই প্রয়োজনীয় অ্যাপ চালু করতে সাহায্য করে। রিমোটটি হালকা এবং হাতে ধরা সহজ। কিছু মডেলে ভয়েস কমান্ডও সমর্থিত, যেখানে আপনি সরাসরি মাইক্রোফোনে কথা বলে টিভিকে নির্দেশ দিতে পারবেন। এছাড়াও স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে টিভি নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগও রয়েছে।
  • ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াইফাই সুবিধা: ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভিতে ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে, অর্থাৎ এটি 2.4 GHz এবং 5 GHz দুই ধরণের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে। এর ফলে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হয় এবং স্ট্রিমিংয়ের সময় কোনো ধরনের বাফারিং বা ল্যাগ দেখা যায় না। বিশেষ করে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও বা ৪কে ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে এই ফিচারটি অসাধারণ সুবিধা প্রদান করে। যারা বাসায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই টিভি পারফেক্ট একটি পছন্দ হতে পারে।
  • মাল্টিপল ভিউ অপশন: এই টিভিতে রয়েছে মাল্টিভিউ ফিচার, যার মাধ্যমে একই সময়ে স্ক্রিন ভাগ করে দুইটি ভিন্ন কনটেন্ট দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি পাশে ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারবেন এবং অন্য পাশে ফেসবুক ব্রাউজ করতে পারবেন। এছাড়াও, পরিবারে যদি কেউ মুভি দেখতে চায় এবং অন্য কেউ গেম খেলতে চায়, তাহলে এক স্ক্রিনেই দুই কাজ একসাথে সম্ভব। এটি বিশেষ করে বড় পরিবারের জন্য একটি চমৎকার ফিচার।

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ছবি এবং ডিজাইন কেমন?

আমরা উপরে জেনে নিলাম, ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ফিচারসমূহ এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে। চলুন এবার আমরা জেনে আসি, ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ছবি এবং ডিজাইন সম্পর্কে।

ওয়ালটন-৪০-ইঞ্চি-স্মার্ট-টিভির-ছবি-এবং-ডিজাইন-কেমন

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ডিজাইন নিখুঁতভাবে আধুনিক রুচির সাথে মানিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দেখাতেই এর স্লিম এবং মডার্ন লুক মন কেড়ে নেয়। টিভির বডি তৈরি হয়েছে হালকা ওজনের কিন্তু মজবুত প্লাস্টিক মেটেরিয়ালে, যা দীর্ঘদিন টেকসই থাকে। এর চারপাশের বেজেল অত্যন্ত পাতলা রাখা হয়েছে, ফলে টিভি স্ক্রিন দেখতে আরো বড় এবং আকর্ষণীয় লাগে। বিশেষ করে যেসব ঘরের সাজসজ্জা মডার্ন, সেখানে এই টিভি দারুণভাবে মানিয়ে যায়। এর স্ট্যান্ডও খুব স্টাইলিশ ডিজাইনে এসেছে, যাতে টিভিটি ভারসাম্য বজায় রেখে টেবিলের ওপর সহজে স্থাপন করা যায়।


টিভিটির ব্যাক প্যানেল বেশ পরিষ্কার এবং সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। পোর্টগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে, যাতে সহজেই তার লাগানো বা খোলার কাজ করা যায়। আর যারা চাইলে দেয়ালে টিভি লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, তাদের জন্য এতে ওয়াল-মাউন্টিং সুবিধাও রয়েছে। পুরো ডিজাইনটি এতটাই নিখুঁত যে, এটি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অংশ হয়ে দাঁড়ায়।

রঙের দিক থেকেও ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি সাধারণত ম্যাট ব্ল্যাক ফিনিশিংয়ে পাওয়া যায়, যা প্রিমিয়াম একটি ফিল তৈরি করে। এর গ্লসি টাচ থাকলেও তা খুব বেশি নয়, ফলে খুব সহজে ধুলো-ময়লা পড়ে না এবং পরিষ্কার রাখাও সহজ হয়। গৃহস্থালির ব্যস্ত জীবনে যারা কম ঝামেলায় টিভি ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এই ধরনের ডিজাইন একেবারে পারফেক্ট বলা যায়।

ডিজাইনের পাশাপাশি টিভিটির রিমোট কন্ট্রোলও বেশ স্টাইলিশ এবং ব্যবহার-বান্ধব। এতে থাকা বাটনগুলো যথেষ্ট বড় এবং সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করে। ফলে বয়স্ক ব্যবহারকারীরাও সহজে অপারেট করতে পারেন। সব মিলিয়ে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ডিজাইন এবং ছবি দিক থেকে এটি এক কথায় চমৎকার।

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিসিং সুবিধা কেমন?

ওয়ালটন সবসময় গ্রাহকের সন্তুষ্টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, এবং এই টিভির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা উপরে আমাদের মেইন পয়েন্টে জেনেছি যে, ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির সাথে সাধারণত ২ বছরের এলইডি প্যানেল ওয়ারেন্টি, খুচরা যন্ত্রাংশ ৫ বছর এবং বিনামূল্যে পরিষেবা ৫ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয়। এটি বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশ উদার নীতিমালা। গ্রাহকরা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের নির্মাণজনিত সমস্যা পান, তাহলে বিনামূল্যে সার্ভিস এবং প্রয়োজনে রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাও পাওয়া যায়।

ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টারগুলো বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে। ফলে কোনো সমস্যা হলে কাছাকাছি সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে সহজেই সহায়তা নেয়া সম্ভব। সার্ভিসিং প্রসেস অত্যন্ত দ্রুত এবং পেশাদার মানের। সাধারণত ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত সমস্যাগুলো সমাধানে কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয় না। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে সার্ভিস প্রয়োজন হলে হোম সার্ভিসের ব্যবস্থাও করা হয়। ওয়ালটনের সার্ভিসিং টিম দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। তারা গ্রাহকের অভিযোগ দ্রুত বুঝে সেই অনুযায়ী সমাধান প্রদান করে। অনেক ক্ষেত্রেই ওয়ালটন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ ছাড় বা অতিরিক্ত সুবিধাও দিয়ে থাকে। ফলে যারা টিভির দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের নিশ্চয়তা চান, তাদের জন্য এই সুবিধা নিঃসন্দেহে বড় একটি প্লাস পয়েন্ট।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ওয়ালটন গ্রাহক সেবার মানে প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। তারা শুধু ওয়ারেন্টির সময় নয়, ওয়ারেন্টি শেষ হওয়ার পরেও গ্রাহকের সেবা প্রদান করে থাকে। এতে গ্রাহকরা নিশ্চিন্ত মনে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি কিনতে পারেন এবং দীর্ঘদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। সার্ভিসিং ও ওয়ারেন্টি সুবিধার দিক থেকে এটি বাজারে অন্যতম সেরা একটি অপশন বলা যেতে পারে।

বাংলাদেশে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি কোথা থেকে কিনবেন?

বাংলাদেশের বাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিভিশনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির নতুন সংযোজনের জন্য স্মার্ট টিভির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। যখন আপনি ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান, তখন সঠিক জায়গা থেকে কেনার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি ওয়ালটনের নিজস্ব শোরুম থেকে সরাসরি কিনতে পারেন। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা ওয়ালটন প্লাজা ও ওয়ালটন অথরাইজড ডিলারদের কাছ থেকে এই টিভি কেনা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য। এখানে আপনি আসল পণ্য, অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।

অনেকেই এখন অনলাইন শপিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। যারা সময় বাঁচাতে চান এবং ঘরে বসেই পছন্দের টিভি কিনতে চান, তাদের জন্য ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। এখানে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ আপডেটেড দেখা যাবে, এবং বিশেষ অফার কিংবা ডিসকাউন্টের সুবিধাও পাওয়া যাবে। এছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন দারাজ, রকমারি, রবি শপ, কিংবা আজকের ডিল থেকেও ওয়ালটন টিভি কেনা যায়। তবে অবশ্যই যাচাই করে কিনতে হবে যেন পণ্যটি আসল হয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক অফার। বাংলাদেশে বড় বড় ইভেন্ট যেমন ঈদ, পূজা বা বর্ষবরণ উপলক্ষে ওয়ালটন নানা রকম অফার দিয়ে থাকে। তখন এসব সময়ের সুযোগ নিয়ে অনেক কম দামে টিভি কেনা সম্ভব। তাই যারা বাজেটের মধ্যে কিনতে চান, তাদের জন্য এসব অফার বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। অনেকে আবার ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই সুবিধা নিয়েও কেনাকাটা করেন, যা অনেকটাই সাশ্রয়ী হয়। আপনি যদি নিশ্চিত হতে চান যে আপনি সঠিক দাম ও গুণগত মান পাচ্ছেন, তাহলে ওয়ালটনের অথরাইজড দোকান কিংবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হতে কেনাটাই উত্তম। এর ফলে আপনি নিশ্চিন্তে একটি আসল ওয়ালটন স্মার্ট টিভির মালিক হতে পারবেন, পাশাপাশি পরবর্তী সেবাগুলোও নির্ভরতার সাথে উপভোগ করতে পারবেন।

অন্যান্য ব্র্যান্ডের ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির সাথে ওয়ালটনের তুলনা

বর্তমানে বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি পাওয়া যায়। তবে যদি আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথা বলি, তাহলে ওয়ালটন অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেকটাই প্রতিযোগিতামূলক। ওয়ালটন একটি দেশীয় ব্র্যান্ড হওয়ায় এর দাম তুলনামূলক কম থাকে অথচ ফিচারের দিক থেকে কোনো কমতি নেই। অন্যদিকে, স্যামসাং, এলজি কিংবা সনি ব্র্যান্ডের টিভিগুলো অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়, যদিও ফিচারের মধ্যে খুব বড় পার্থক্য থাকে না। ওয়ালটনের টিভি মূলত তাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হয়, যার কারণে উৎপাদন খরচ কম থাকে এবং সেই সুবিধা সরাসরি গ্রাহকদের প্রদান করা হয়। অন্য ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত আমদানি করা হয়, যার ফলে শুল্ক ও পরিবহন খরচ মূল্য বাড়িয়ে দেয়। তাই যারা বাজেটের মধ্যে একটি মানসম্মত ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি খুঁজছেন, তাদের জন্য ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে।

আরেকটি দিক হলো, ওয়ালটনের স্মার্ট টিভি গুলোতে দেশের ইন্টারনেট স্পিডের উপযোগী করে ফিচার যোগ করা হয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের টিভিতে হেভি অ্যাপস ইনস্টল করা থাকে, যা আমাদের দেশের তুলনামূলক কম গতির ইন্টারনেটে ভালোভাবে কাজ নাও করতে পারে। এই দিক থেকে ওয়ালটন তাদের টিভি গুলোকে সহজ ও কার্যকর রাখার চেষ্টা করে, যাতে ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা হয় মসৃণ ও ঝামেলামুক্ত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সার্ভিস সাপোর্ট। ওয়ালটন সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার আছে। অন্য ব্র্যান্ডের টিভির ক্ষেত্রে অনেক সময় সার্ভিস সেন্টার খুঁজে পাওয়া কঠিন হয় বা অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। এই কারণে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা দিন দিন বাড়ছে।

কেন আপনি ওয়ালটন স্মার্ট টিভি কিনবেন?

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি কেনার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত, যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য খুবই আকর্ষণীয় করে তোলে। নিচে আমরা চারটি বড় কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, চলুন জেনে আসা যাক।

সাশ্রয়ী মূল্য ও উচ্চমানের ফিচার:

ওয়ালটন স্মার্ট টিভি গুলো তাদের দামে যা অফার করে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হলেও এতে রয়েছে ফুল এইচডি ডিসপ্লে, আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম, স্মুথ ইউজার ইন্টারফেস, এবং দ্রুত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি। এক কথায়, অল্প দামে প্রিমিয়াম ফিচার পাওয়া যায়, যা অন্য কোনো ব্র্যান্ডে একই দামে পাওয়া বেশ কঠিন।

দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা ও সার্ভিস সুবিধা:

ওয়ালটন বাংলাদেশের নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড। ফলে এর যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। সারাদেশে ওয়ালটনের রয়েছে অসংখ্য সার্ভিস সেন্টার। যদি আপনার কেনা টিভিতে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে খুব সহজেই সার্ভিস সাপোর্ট পাওয়া যাবে। ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ যেমন সাধ্যের মধ্যে, তেমনি বিক্রয়োত্তর সেবার দিক থেকেও অত্যন্ত সন্তোষজনক।

আধুনিক প্রযুক্তির সাথে ব্যবহারকারীর সুবিধা:

ওয়ালটন স্মার্ট টিভি গুলোতে রয়েছে ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক সহ আরো অনেক অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা। পাশাপাশি রয়েছে স্ক্রিন মিররিং, ভয়েস কন্ট্রোল সাপোর্ট ইত্যাদি। বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্পিড বিবেচনায় ওয়ালটন টিভি গুলো বিশেষভাবে তৈরি। তাই ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ অনুযায়ী এসব সুবিধা পাওয়া সত্যিই দারুণ।

আকর্ষণীয় ডিজাইন ও টেকসই নির্মাণ:

ওয়ালটনের ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি গুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি বেশ টেকসইও। এই স্মার্ট টিভিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের ম্যাটেরিয়াল, যার ফলে দীর্ঘদিন কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। যারা ফ্যামিলির জন্য একটি স্টাইলিশ টিভি খুঁজছেন, তাদের জন্য ওয়ালটন একটি আদর্শ পছন্দ। 

ওয়ালটন টিভি কেনার আগে কি কি বিষয় মাথায় রাখা উচিত?

ওয়ালটন টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। কারণ টিভি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ, যেখানে মান, ফিচার এবং দাম- সব কিছুতেই সচেতন থাকা উচিত। বিশেষ করে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ বিবেচনায় কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি সহজেই সেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। নিচে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আলোচনা করা হলো তাই চলুন জেনে আসা যাক।

ওয়ালটন-টিভি-কেনার-আগে-কি-কি-বিষয়-মাথায়-রাখা-উচিত

ডিসপ্লে কোয়ালিটি এবং রেজুলেশন যাচাই করুন:

টিভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এর ডিসপ্লে। ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি সাধারণত ফুল এইচডি বা 4K রেজুলেশন দিয়ে আসে। আপনি যখন ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ বিবেচনা করছেন, তখন ডিসপ্লের ক্লারিটি, ব্রাইটনেস ও কালার রেজিস্ট্রেশন দেখে নেওয়া উচিত। যদি আপনি নিয়মিত সিনেমা, ইউটিউব ভিডিও বা গেম খেলতে চান, তাহলে উচ্চ রেজুলেশনের টিভি বেছে নেওয়া শ্রেয়। পাশাপাশি স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট ও রেসপন্স টাইম ভালো কি না, সেটাও যাচাই করা জরুরি। তবে আমরা তো এই বিষয়টি নিয়ে উপরে জেনে এসেছি। তাই আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানি।

কানেক্টিভিটি অপশন ও স্মার্ট ফিচার পরীক্ষা করুন:

বর্তমান যুগে টিভি শুধু চ্যানেল দেখার মাধ্যম নয়; এটি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ট্রিমিং, গেমিং, ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মতো কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই টিভিতে কতগুলো HDMI, USB পোর্ট আছে, Wi-Fi ও Bluetooth কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে কিনা, তা যাচাই করতে হবে। ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ অনুসন্ধান করার সময়, টিভিটির স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম কেমন- সেটিও খেয়াল রাখা দরকার। যেমন: ওয়ালটন অ্যান্ড্রয়েড বেসড স্মার্ট টিভি অফার করে, যেখানে প্রচুর অ্যাপ সাপোর্ট করা হয়।

ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা যাচাই করুন:

টিভি কেনার সময় ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিস পলিসি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। ওয়ালটন সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত সার্ভিস ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে, যা অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক। আপনি যখন ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ যাচাই করছেন, তখন খেয়াল করুন যে কোথায় কত বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে এবং কোথায় কী ধরনের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজনে নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারের অবস্থানও জেনে নিন।

মূল্য ও ডিসকাউন্ট অফার যাচাই করুন:

ওয়ালটন প্রায়ই বিভিন্ন উৎসব বা বিশেষ দিনে টিভিতে বিশেষ ছাড় অফার করে। তাই আপনি যদি সঠিক সময়ে কেনাকাটা করেন, তাহলে অনেক ভালো ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। অনেক সময় ব্যাংক কার্ড দিয়ে কিনলে ০% ইন্টারেস্টে কিস্তিতে কেনার সুযোগ থাকে। এতে আপনার আর্থিক চাপ অনেকটাই কমে আসবে।

পুরাতন অথবা সেকেন্ড-হ্যান্ড ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির দাম এবং কেনার নিয়মাবলী

বাংলাদেশে পুরাতন বা সেকেন্ড-হ্যান্ড ওয়ালটন টিভির বাজার ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে। যারা কম বাজেটে একটি ভালো টিভি কিনতে চান, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার অপশন হতে পারে। সাধারণত সেকেন্ড-হ্যান্ড ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ নতুন টিভির দামের তুলনায় ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত কম হয়। তবে কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় যাচাই করা প্রয়োজন, যেমন:

  • টিভির স্ক্রিনে কোনো দাগ, ডেড পিক্সেল, স্ক্র্যাচ আছে কিনা তা চেক করতে হবে।

  • রিমোট কন্ট্রোল, চার্জার, মাউন্টিং স্ট্যান্ডসহ সম্পূর্ণ অ্যাকসেসরিজের অবস্থা ভালো কি না যাচাই করুন।
  • টিভির মডেল এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইয়ার জেনে নিন, কারণ পুরনো টিভির হার্ডওয়্যার আপডেটেড নাও থাকতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি টিভিটি কেনার আগে সরাসরি চালিয়ে দেখে নেওয়া যায়।
  • আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যদি সম্ভব হয় তবে ওয়ারেন্টির অবশিষ্ট সময় থাকা কোনো টিভি বেছে নিন। এতে সমস্যা হলে ফ্রি সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন। 
  • সেকেন্ড-হ্যান্ড টিভি কেনার জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন বিক্রয় ডটকম, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে পারেন। তবে লেনদেনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং সরাসরি দেখা করে যাচাই করে কিনুন।
  • উপরের এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনি একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড টিভি ক্রয় করতে পারেন। আর আপনার যদি সেকেন্ড-হ্যান্ড জিনিস কেনার বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতা থাকে তবে সেটিকে কাজে লাগিয়ে তা ক্রয় করতে পারে এবং এটি হতে পারে আপনার জন্য মাইনফলক।

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ইউজার রিভিউ এবং অভিজ্ঞতা

আমরা একটি জিনিস ক্রয় করার সময় যেটি বেশি নজর দেই সেটি হচ্ছে, যদি আশেপাশে বা পরিচিত কেউ সেই জিনিসটি ক্রয় করে থাকে তবে তার সেই জিনিসের প্রতি অভিজ্ঞতা কেমন। জিনিস ব্যবহারকারী ব্যক্তির নিকট হতে আমরা অনেকসময় পরামর্শ নিয়ে থাকি অথবা আমরা অনেকসময় অনলাইনে সেই ব্র্যান্ড ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেখে সেটি ক্রয় করার চিন্তা করি। ঠিক সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করবো। তবে চলুন জেনে আসা যাক ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির ইউজার রিভিউ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে।

ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাধারণত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই বলেন, এই টিভির ছবি ও সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো এবং প্রাইসের তুলনায় ফিচার রিচ। অনেক ইউজার জানিয়েছেন যে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ অনুযায়ী, এটি তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সুবিধা দিয়েছে। বিশেষ করে এর ইউজার ইন্টারফেস সহজ এবং নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি স্ট্যাবল, যা সাধারণ ইউজারদের জন্য আদর্শ। 

তবে কিছু ইউজার মাঝেমধ্যে সফটওয়্যার আপডেট সংক্রান্ত সমস্যা বা অ্যাপ লোডিং টাইম বেশি হওয়ার অভিযোগ করেছেন। আবার অনেকে বলছেন, টিভির বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হলেও প্যানেলের বিষয়ে আরো উন্নতি করা দরকার ছিল। সবমিলিয়ে, যদি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তাহলে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো সার্ভিস দিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা একটি দেশীয় ব্র্যান্ডের সাপোর্ট এবং বাজেটের মধ্যে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন, তাদের জন্য ওয়ালটন সত্যিই এক উত্তম পছন্দ। রিভিউগুলো পড়লে বোঝা যায়, ওয়ালটন ক্রমাগত তাদের প্রযুক্তি এবং গ্রাহক সেবা উন্নত করছে।

শেষ মন্তব্য

আমরা আজকের আর্টিকেলের শেষ অংশে চলে এসেছি এবং সবদিক বিবেচনা করা বলা যায়, ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি বাংলাদেশের বাজারে একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পণ্য। আপনি যদি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমিত বাজেটে একটি উন্নতমানের স্মার্ট টিভি কিনতে চান, তাহলে ওয়ালটন ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি প্রাইস ইন বাংলাদেশ বিবেচনায় রাখতেই পারেন। এই টিভির ডিসপ্লে এবং রেজুলেশন, প্রসেসর এবং মেমোরি, কানেক্টিভিটি অপশন, অডিও এবং স্মার্ট ফিচার, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস, গেমিং মোড সাপোর্ট, স্মার্ট রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম, ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াইফাই সুবিধা, মাল্টিপল ভিউ অপশন, সার্ভিস সাপোর্ট এবং মূল্য সহ আমাদের এই আর্টিকেলের প্রতিটি বিষয় বা পয়েন্ট সবকিছুর সমন্বয়ে এটি একটি সেরা ডিল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

BLOGGER BD-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url