আপনি কি জীবনকে সুন্দর করার উপায় ভাবছেন? তবে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন।
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানবো, জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার
১০টি উপায় সম্পর্কে। তাই চলুন ধারাবাহিকভাবে আলোচনা শুরু করা যাক।
বিভিন্ন কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। আমরা তখন ঠিক বুঝে উঠতে
পারিনা কি করলে আমার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবো।
পোস্ট সূচিপত্র: জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায়
জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায়
আপনি যদি আপনার জীবনকে সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে উপভোগ করতে চান তবে আপনাকে কিছু
নিয়ম মেনে চলতে হবে। কেননা আমরা জানি যে, আমাদের জীবনে নিয়মের উপর নির্ভর এবং
আমরা নিয়মের বাহিরে যেতে পারি না বা কখনো যদি চলে যায় তবে আমরা তার খারাপ জিনিসটি
ভোগ করে থাকি। তাই বলা যায় যে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে গেলে বা জীবনকে সুন্দর করে
তুলতে গেলে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং সে অনুপাতে
আমাদের চলতে হবে তবেই আপনি জীবনের আসল মজা বা আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তাই চলুন
ধারাবাহিকভাবে জেনে আসি জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায় সম্পর্কে।
সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন
জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায়’এর মধ্যে প্রথম উপায়টি হচ্ছে-
সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা। আমরা মানুষ এবং আমাদের মস্তিষ্কে দুই প্রকারের
চিন্তাভাবনা কাজ করে থাকে; একটি হচ্ছে ভালো অর্থাৎ ইতিবাচক চিন্তা এবং অন্যটি
হচ্ছে খারাপ অর্থাৎ নেতিবাচক চিন্তা। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ইতিবাচক
চিন্তার থেকে নেতিবাচক চিন্তা বেশি করে অর্থাৎ মন্দ বা খারাপ চিন্তা এবং এই খারাপ
চিন্তাভাবনা আমাদের জীবনকে একদম নষ্ট করে দেই। আমাদের মাথায় যখন কোনো একটি খারাপ
চিন্তা আসে তখন আমাদের বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং সবসময় প্রতিটি
মুহূর্তে আমাদের মাথায় এই খারাপ চিন্তাটি এসে ভর করে। তাই আপনি যদি জীবনকে
সুন্দরভাবে উপভোগ করতে চান তবে সর্বপ্রথমে আপনাকে আপনার মস্তিষ্ক থেকে নেতিবাচক
চিন্তাভাবনাকে সরিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনাকে জায়গা দিতে হবে। আপনি যদি খারাপ সময়
যায় তবে আপনাকে তা সঠিক চিন্তাভাবনা দিয়ে সমাধান করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি সেটি
না করে খারাপ চিন্তাভাবনায় পড়ে যান তবে সেটি থেকে বের হয়ে আসা বড় কষ্টকর হয়ে পড়বে
আপনার জন্য।
তাই বলা যায় যে, সর্বদা ভালো চিন্তা করবেন এবং আশাবাদী থাকবেন যে- যা হচ্ছে সবই
আমার ভাগ্যে লেখা আছে এবং নিশ্চয়ই আমি এটি থেকে বের হয়ে আসতে পারবো। সেই সাথে
আপনি নিজের মনের বলকে কাজে লাগিয়ে সেই খারাপ সময় থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ
চেষ্টা করবেন এবং মনে রাখবেন, এই দুনিয়া হচ্ছে আপনার জন্য একটি পরীক্ষার কেন্দ্র
বা হলরুম, যেখানে আপনাকে ঠান্ডা মাথায় সবকিছু সমাধান করতে হবে এবং তাতে আপনাকে
উত্তীর্ণ হতে হবে। আপনি যদি নিজের মনের ভেতরে থাকা মনোবল হারিয়ে ফেলেন তবে আপনার
জন্য সেটি কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। তাই সর্বদা আশাবাদী হন আপনি সফল হবেন এবং সর্বদা
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন দেখবেন জীবনে আনন্দের কোনো কমতি হবেনা।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি মেনে চলুন
একটি জীবনকে সুন্দর ও মার্জিতভাবে উপভোগ করার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা আপনার স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয়, আপনি
যদি শারীরিকভাবে দূর্বল হন তবে আপনার পক্ষে জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করাটা সম্ভব
নই বললেই চলে। তাই আপনি যদি এখন প্রশ্ন করেন, জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায়? এই
প্রশ্নের জবাবে আমরা বলবো যে, নিজের শরীরের যত্ন নিন এবং শরীর যখন যা চাই তাকে
সেটি দিন। কারণ শারীরিক সুস্থতা যদি আপনার কাছে না থাকে তবে আপনি কখনোই আনন্দ
উপভোগ করতে পারেন না। যেমন: আগামীকাল ঈদ, আপনার বাড়ীর সকল পুরুষ মানুষ ও
পাড়া-প্রতিবেশিরা ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়তে যাবে, কিন্তু আপনি ঈদের বেশ কিছুদিন আগে
থেকে অসুস্থ হয়ে বিছানাই পড়ে রয়েছেন বিধায় আপনি তাদের সাথে নামাজ পড়তে যেতে
পারবেনা। তবে বলুন তো আপনি ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলেন কি-না? আর বঞ্চিত হওয়ার
কারণ হলো শারীরিরভাবে আপনি অসু্স্থ। তাই নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হন। দেখবেন
আপনার শরীর কথা বলবে এবং আপনি নিজে বুঝতে পারবেন শরীরভালো থাকা কতটা আপনার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবার ও প্রিয়জনদের সময় দিন
জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায়’এর মধ্যে পরবর্তী উপায়টি হচ্ছে-
পরিবার ও প্রিয়জনদের সময় দেওয়া। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি আনন্দ
কোথায় খুঁজলে পাবেন তা কি আপনার জানা আছে? উত্তরটি হলো আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের
নিকট। আপনার পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানি এদের কাছে আপনি আসল
ভালোবাসা পাবেন যেটাকে আমরা বলে থাকি পিওর ভালোবাসা। এছাড়া আপনার প্রিয়জন হতে
পারে আপনার স্ত্রী কিংবা আপনা নিকটস্থ কোনো বন্ধুবান্ধব। আপনি মূলত তাদের নিকট
আসল ভালোবাসা পেতে পারে যা আপনার জন্য আনন্দের একটি মুহূর্ত্ব। এখন আপনি যদি
কাজের ব্যবস্থার বাহানা দিয়ে পরিবার ও প্রিয়জনদের সময় দিতে না পারেন তবে আনন্দ
আপনি কিভাবে পাবেন বলুন তো দেখি!!
সময় বের করুন দিনে ২-৩ ঘন্টা হলেও সময় বের করুন আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য।
কেননা এরাই হচ্ছে আপনার হাসির খোরাক এবং এরাই আপনাকে প্রকৃত ভালোবাসে। দিনে সময়
দিতে না পারেন রাতে যখন সবাই এক হবে তখন দিন অথবা ছুটির দিনগুলোতে তাদের নিয়ে
কোথায় ঘুরতে যান। সবাই যখন একসাথে থাকবে তখন দেখবেন আনন্দ আপনাআপনি ছোয়া দিবে।
অহংকার ও হিংসা ত্যাগ করুন
আমরা অনেকেই এমন আছি যারা একটুতেই অহংকার করি, অন্যের সুখ আমরা দেখতে পারিনা বরং
হিংসা করি এবং এই দুটি জিনিস অহংকার ও হিংসা আমাদের জীবনকে দিনে দিনে তছনছ করে
দিচ্ছে। মনে রাখুন, অহংকার করবেন না, হিংসাও করবেন না। আপনি এগুলো থেকে যতদূরে
থাকবেন জীবন আপনার ততই সুন্দর হবে এবং জীবনকে আপনি উপভোগ করতে পারবেন। অহংকার
মানুষকে ধ্বংস করে দেয় একই সাথে হিংসা মানুষকে পুড়িয়ে দেয়। চিন্তা করবেন, আপনি যে
বিষয়কে কেন্দ্র করে অহংকার করছেন সেটি কি আপনার কাছে দীর্ঘস্থায়ীভাবে থাকবে?
সারাজীবন কি আপনি এটি ভোগ করতে পারবেন? এক না একদিন তো তা শেষ হয়ে যাবেই তখন আপনি
কি করবেন? আর রইলো হিংসা... আপনি অন্যের দেখে কেন হিংসা করবেন? সে উন্নতি করেছে
তাতে হিংসা করে আপনার কি লাভ আছে? আপনি কি তার উন্নতি থেকে কিছু পাবেন? অথবা
আপনার হিংসায় কি তার পতন হবে? কখনই না বরং এতে আপনার ক্ষতি হচ্ছে, আপনি শারীরিক,
মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এসব থেকে দূরে থাকুন এবং জীবনে
উপভোগ করুন না... কে কি বলে, কে কি করে করুক। আমি সঠিক পথে থাকলেই আমার তো লাভ...
কোনো ক্ষতি নেই তো; এই চিন্তা সর্বদা করুন।
নিজেকে সহ অন্যদের ক্ষমা করতে শিখুন
ক্ষমা এমন একটি জিনিস যেটা সবার ভেতরে থাকেনা। আপনি ভুল করলে যদি কেউ আপনাকে
নির্দ্বিধায় ক্ষমা করে দেন তবে ভাবুন তো সে মানুষের কেমন ব্যক্তিত্বের অধিকার।
তাই অন্যকে সহ নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন। আপনি কোনো একটি ভুল করলেন সে ভুলকে মনে
মাঝে ধরে না রেখে সেটিকে কিভাবে দূর করা যায় বা ভুলটিকে কিভাবে শুধরিয়ে নেওয়া
যায় সে কথা চিন্তা করেন।
একই ভাবে অন্যের প্রতি ক্ষমাশীল হন। ছোটখাটো ভুলত্রুটিগুলোকে বেশি বড় করে না দেখে
সেগুলোকে সমাধান করুন এবং সমাধানের সহজ পথ হিসেবে বেছে নিতে পারেন ক্ষমাকে। যেমন-
আপনাকে কেউ ভুল করে বা জেনে বুঝেই হোক গালিগালাজ দিলো অথবা আপনার সাথে
দূর্ব্যবহার করলো। আপনি এটিকে কিভাবে দেখবেন? প্রথমত তর্কে জড়াবেন না, কে কি বলে
বলুন কথা না বাড়িয়ে আপনি সেখান থেকে সরে আসুন এবং সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন
যদি সে তার ভুল বুঝতে পারে।
হাসিখুশি ও ইতিবাচক বন্ধুদের সঙ্গে থাকুন
জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায়’এর মধ্যে হাসিখুশি ও ইতিবাচক
বন্ধুদের সঙ্গে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। জীবনে যত হাসবেন জীবন ততই
সুন্দর হয়ে উঠবে। তবে আমরা জানিনা কিভাবে হাসিখুশি থাকতে হয়। হাসিখুশি থাকার জন্য
আপনাকে সবসময় ইতিবাচক ভাবতে হবে এবং ভালো বন্ধুবান্ধবদের সাথে চলাফেরা সহ যোগাযোগ
রাখতে হবে। কেননা একজন প্রকৃত বন্ধুই হচ্ছে আপনার হাসিখুশির মাধ্যাম। তাই সবসময়
ইতিবাচক অর্থাৎ ভালো বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করুন। তাদের সাথে থাকলে সময় ব্যয়
করলে আপনার জীবনে আনন্দ আসবে এবং আপনি জীবনের স্বাদ পাবেন।
আর যদি খারাপ বন্ধুদের সাথে থাকে তবে তারা সর্বদা আপনাকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিবে,
আপনার উন্নতি তারা কখনোই ভালো চোখে দেখবে না। এভাবে আপনি জীবন থেকে আনন্দের স্বাদ
হারিয়ে ফেলবেন। তাই বন্ধু নির্বাচনে সর্তক হোন। জীবনে কম বন্ধু থাকুক কোনো সমস্যা
নেই, তবে যারা থাকবে তারা যেন ভালো ও সৎ হয় এই আশা রেখে বন্ধু নির্বাচন করুন।
জীবনের ছোট-বড় আনন্দের মুহূর্তকে উপভোগ করুন
আমাদের জীবনে অনেক ছোটখাটো আনন্দের মুহূর্ত আসে। যেমন ধরুন, আপনাকে কেউ বহুদিন
পরে ফোন দিলো এবং আপনার ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করল আবার ধরুন অনেকদিন পরে এক বন্ধুর
সাথে দেখা হলো, আবার কেউ আপনাকে কিছু একটা উপহার দিলো, কোথায় ঘুরতে গেলেন, এমন
কিছু দেখলেন যা আগে কখনো দেখেননি এবং আপনি তা দেখে চমকে গেলেন ইত্যাদি বিষয়। এসব
আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে। তাই আমরা চাইলেই কিন্তু এসব ছোটখাটো জিনিসগুলোকে
আনন্দের মুহূর্ত বানিয়ে নিতে পারি।
মনে রাখবেন, আপনি চাইলেন সব ভালো দিকগুলো কে বা ভালো মুহুর্তগুলোকে আনন্দে পরিনত
করতে পারি। তাই অল্পতে খুশি থাকার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি যখন কোনো একটি ছোট
জিনিসকে খুশি কারণ হিসেবে ধরবেন বা দেখবেন তখন সেই জিনিসটি অন্যের কাছে ছোট মনে
হলেও আপনার কাছে তা অনেক বড় বলে মনে হবে এবং আপনি এটি থেকে জীবনে আনন্দের স্বাদ
উপভোগ করতে পারবেন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করুন
ঘুম এমন একটি জিনিস যেটি মানুষকে প্রশান্তি এনে দেই। আপনি দৈনিক কাজ শেষে যদি
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম না নেন তবে আপনার শরীরের বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতি হতে
পারে। তাই জীবনকে আনন্দের জায়গাতে নিয়ে যেতে ঘুম ও বিশ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দিন শেষে রাতে যদি আপনি পর্যাপ্ত ঘুম যা আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজন সেটি দিলে
আপনার মন প্রফুল্ল থাকবে। একই সাথে কাজের মাঝে মাঝে হালকা ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম
গ্রহণ করুন। কেননা একনাগারে কাজ করলে কাজের প্রতি একটা অনিহা তৈরি হয়, তাই মনকে
কাজের মাঝে লাগাতে হলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।
নিঃস্বার্থভাবে অন্যদের সাহায্য করুন
অন্যকে সাহায্য করুন। আপনি যদি কোনো গরিব-অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য নিজের
হাত বাড়িয়ে দেন তবে দেখবেন আপনি আপনার ভেতরে এক আলাদা অনুভূতি অনুভব করবেন।
সাহায্য করার সময় মাথায় রাখবেন, আপনি যাকে বা যেখানে সাহায্য করছেন সেখান থেকে
কোনো কিছু পাওয়ার আশা রাখবেন না। কেননা বিনা কারণে আশা রাখলে আপনি আরো ভেঙে
পড়বেন। তাই সবসময় নিঃস্বার্থভাবে অন্যদের সাহায্য নিজের হাত বাড়িয়ে দিন এবং
নিজেকে মানবতার কাজে নিয়োজিত করুন, নিজেকে মানবতার সহায়তায় গড়ে তুলুন। আপনি
লক্ষ্য করবেন, আপনি যখন কাউকে সাহায্য করছেন তখন সাহায্য নেওয়া ব্যক্তিটির মুখের
দিকে একবার দেখবেন, তার মুখের হাসিটা একবার লক্ষ্য করবেন। সেই ব্যক্তির হাসিতে
আপনি আপনার জীবনে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এবং মনে করবেন এতেই জীবন সার্থক।
দানশীল হওয়ার চেষ্টা করুন
নিজেকে থেকে কাউকে দান করলে মনের ভেতরে এক প্রকার শান্তি চলে আসে। তাই আপনি
যতটুকু পারে গরিব-অসহায় ও দুস্ত মানুষদের দান করুন। আমরা অনেকেই মনে করি যে, দান
করলে তো আমার জমানো অর্থ থেকে তা কমে যাবে। এই চিন্তাটি খুবই খারাপ একটি চিন্তা
এবং এটি যুক্তিযুক্ত নই। মনে রাখবেন, আপনি যত বেশি দান করবেন তার চেয়ে বেশি আপনি
ফেরত পাবেন। আপনাকে সবসময় উপরওয়ালার উপর ভরসা রাখতে হবে তবেই আপনি দেখবেন দান
করলে টাকা কমে না বরং এটি আরো বৃদ্ধি পায়। তবে দান করার কিছু নিয়ম আছে যেমন- আমরা
যেখানে খুশি দান করে দেই যা একদম সঠিক না। আপনার দানের অর্থ যার বেশি প্রয়োজন
আপনি তাকে সেটি দিন। কেননা যার আছে তাকে যদি দিতে যান তবে আপনার দানের কোনো মর্ম
থাকবেনা। তাই সঠিক জায়গাতে দান করার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যখন কাউকে দান করবেন তখন আশা রাখবেন এবং মনে মনে ভাববেন যাকে আপনি দান করছেন
সে আপনার জন্য দোয়া করছে এবং এটি আপনার জন্য একটি খুবই আনন্দের বিষয় হতে পারে।
কেননা কেউ যখন আপনার জন্য দোয়া করবে তখন সেই দোয়া দ্রুত আপনার উপর প্রভাব ফেলবে
এবং আপনার ভালো কিছু হবে বলে আশাবাদী হবেন।
শেষ মন্তব্য
আজকে আমরা আমাদের মূল বিষয় জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তার ১০ টি উপায়’এর শেষ
অংশে চলে এসেছি এবং আমরা শেষ মন্তব্য হিসেবে বলতে পারি যে, আপনি সবসয় হাসিখুশি ও
প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করুন। আপনি যত হাসবেন আপনার মন তত পরিষ্কার হবে এবং আপনার
মন যত পরিষ্কার হবে আপনি তত জীবনের স্বাদ পাবেন। তাই সবসময় হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত
থাকুন। আপনি হয়তো জানেন ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে 'লাফটার ইজ এ বেস্ট
মেডিসিন' এবং এর অর্থ হচ্ছে- 'হাসি হলো সবচেয়ে ভালো ঔষধ'।
BLOGGER MRH-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url